শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৮ অপরাহ্ন
ক্রীড়া ডেস্ক: সিরিজ নিশ্চিত হয়েছিল আগেই। তারপরও শেষটা রাঙানোর প্রবল ইচ্ছা ছিল টাইগারদের। আর সেটা হলো বেশ দাপটের সাথে। লজ্জার রেকর্ডে ম্লান হলো অস্ট্রেলিয়া। ৬০ রানের দাপুটে জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ শেষ করলো বাংলাদেশ। সিরিজে ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ জয়ের হাসি বাংলাদেশের।
আগে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ১২২ রান করে বাাংলাদেশ। জবাবে মাত্র ৬২ রানে অল আউট অস্ট্রেলিয়া। টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার এটি সর্বনিম্ন স্কোর। আগেরটি ছিল ৭৯ রানের, ২০০৫ সালে সাউদাম্পটনে, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে।
মিরপুরে ১২৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ধুকতে থাকে অস্ট্রেলিয়া। দলীয় ৩ রানে হারায় প্রথম উইকেট। আগের ম্যাচে সাকিবের ওভার ছক্কার বন্যা বইয়ে দেয়া ড্যান ক্রিশ্চিয়ানকে বোল্ড করে দেন নাসুম আহমেদ। ৩ বলে তিন রান করে সাজঘরে ফেরেন অজি ওপেনার।
সিরিজের ধারাবাহিক রানের মধ্যে থাকা মিচেল মার্শকেও ফেরান নাসুম। দলীয় ১৭ রানে নাসুমের এলবিডব্লিউর শিকার তিনি। ৯ বল খেলেও থিতু হতে পারেননি মার্শ। করতে পারেন মাত্র ৪ রান।
এরপর অবশ্য অজি অধিনায়ক ওয়েড ও ডারমট হাল ধরার চেষ্টা করেন। কিন্তু সেটাও বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ৩৮ রানে অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক ওয়েডকে বোল্ড করে ফেরান সাকিব আল হাসান। ২২ বলে ২২ রান করেন ওয়েড। চলতি সিরিজে এটি সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস ওয়েডের।
ওয়েডের বিদায়ের পর মোড়ক লাগে অস্ট্রেলিয়া শিবিরে। ২২ রানের মধ্যে দলটি হারায় বাকি সাত উইকেট। দলীয় ৪৮ রানে ডারমটকে নিজের বলে ক্যাচ নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। ১৬ বলে এক ছক্কায় ১৭ রান করেন ডারমট। কিছুক্ষণ পর আলেক্স কেরিকে বোল্ড করেন দলে ফেরা সাইফউদ্দিন। সাত বল খেলা কেরি করেন মাত্র ৩ রান। একই ওভারে হেনরিকসকেও ফেরান সাইফউদ্দিন। সাত বলে তিন রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন হেনরিকস।
পরের ওভারে অ্যাস্টন টার্নারকে মাহমুদউল্লাহর হাতে ক্যাচ বানান সাকিব আল হাসান। ১৩তম ওভারে আবার সাইফউদ্দিনের আঘাত। এবার তিনি বোল্ড করেন ৪ বলে দুই রান করা অ্যাস্টন অ্যাগারকে।
অস্ট্রেলিয়ার কফিনে শেষ পেরেক ঠুকেন সাকিব আল হাসান। দলীয় ৫৮ রানে ফেরান এলিসকে। ৬২ রানে সাকিবের বলে মাহমুদউল্লাহর হাতে ক্যাচ দেন জাম্পা। আর তাতেই কুপোকাত অস্ট্রেলিয়া।
বল হাতে দুর্দান্ত করেন সাকিব আল হাসান। ৩.৪ ওভারে এক মেডেনে ৯ রানে চারটি উইকেট নেন সাকিব আল হাসান। সাইফউদ্দিনও ছিলেন দারুণ। ৩ ওভারে ১২ রানে তিন উইকেট। মোস্তাফিজের বোলিংই করার দরকার হয়নি। এক ওভার বল করেছেন, রান দিয়েছেন তিন। নাসুম আহমেদ ২ ওভারে ৮ রানে দুটি উইকেট নেন।